আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া -(ইসলামের ইতিহাস : আদি-অন্ত) – আবুল ফিদা হাফিজ ইব্ন কাসীর -Islamic Bangla Boi
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া বইটির ফ্ল্যাপ থেকে কিছু কথা :
“আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ প্রখ্যাত মুফাসসির ও ইতিহাসবেত্তা আল্লামা ইবনে কাসীর (র:) প্রণীত একটি সুবৃহৎ ইতিহাস গ্রন্থ। এই গ্রন্থে সৃষ্টির শুরু তথা আরশ, কুরসী, নভােমণ্ডল, ভূমণ্ডল প্রভৃতি এবং সৃষ্টির শেষ তথা হাশর-নশর, কিয়ামত, জান্নাত, জাহান্নাম প্রভৃতি সম্বন্ধে আলােচনা করা হয়েছে।
এই বৃহৎ গ্রন্থটি ১৪টি খণ্ডে সমাপ্ত হয়েছে। আল্লামা ইবনে কাসীর (র:) তাঁর এই গ্রন্থকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম ভাগে আরশ, কুরসী, ভূমণ্ডল, নভােমণ্ডল এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সব কিছু তথা ফেরেশতা, জিন, শয়তান, আদম (আ)-এর সৃষ্টি, যুগে যুগে আবির্ভূত নবীরাসূলগণের ঘটনা, বনী ইসরাঈল, ইসলাম-পূর্ব যুগের ঘটনাবলী এবং মুহাম্মদ (সা)-এর জীবন-চরিত আলােচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর ওফাতাল থেকে ৭৬৮ হিজরী সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ কালের বিভিন্ন ঘটনা এবং মনীষীদের জীবনী আলােচনা করা হয়েছে। তৃতীয় ভাগে রয়েছে ফিৎনা-ফাসাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, কিয়ামতের আলামত, হাশর-নশর, জান্নাত-জাহান্নামের বিবরণ ইত্যাদি।
বইয়ের বিবরণ :
বই : | আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া – ইসলামের ইতিহাস : আদি-অন্ত |
লেখকঃ | আবুল ফিদা হাফিজ ইব্ন কাসীর |
পৃষ্ঠা সংখ্যা : | ৬১৩০ পৃষ্ঠা |
ফাইল সাইজ : | ৪০১ মেগাবাইট |
সংগ্রহ : | ইন্টারনেট থেকে |
কৃতজ্ঞতাঃ | বুক বিডি আর্কাইভ |
উপস্থাপনায়ঃ | ইসলামিক ই বই |
লেখকের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা :
তাফসীর ইব্ন কাসীর এই অসাধারণ এই গ্রন্থের লেখক ইবনে কাসির ছিলেন একজন মুহাদ্দিস, ফিকহ , মুফাসসির ও ইতিহাসবিদ। তার পুরো নাম ইসমাঈল ইবন উমর ইবন কাসীর ইবন দূ ইবন কাসীর ইবন দিরা আল-কুরায়শী। তিনি ‘’বিচার দিবসের পূর্বের চিহ্ন’’ নামক বইয়ের লেখক। তিনি তার রচিত তাফসিরের জন্য তিনি অধিক প্রসিদ্ধ। এই তাফসিরকে প্রামাণ্য হিসেবে ধরা হয়। ইবনে কাসির (রহ.) ৭০০ হিজরি মতান্তরে ৭০২ হিজরি সনে সিরিয়ার বসরান মাজদল নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তবে ‘আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থে তাঁর জন্মস্থান সিরিয়ার ‘মুজায়দিল’ নামক স্থানে উল্লেখ রয়েছে । ইবনে কাসির কুরায়শের বনী হাসালা শাখা গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। সন্ত্রান্ত এ গোত্রটির অনেক খ্যাতি রয়েছে। তাঁর পিতার নাম খতীব শিহাবউদ্দীন আবু হাফস উমর ইব্ন কাসীর। তিনি বসবাস করতেন বুসরা নগরীর পশ্চিমে অবস্থিত ‘শারকাব্বীন’ গ্রামে। ইবন কাসীর (র:) হিজরী ৮ম শতাব্দীতে মামলুক সুলতানদের শাসনামলে তাঁর যৌবঙ্কাল অতিবাহিত করেন । তাতারদের আক্রমণ, একাধিক দুর্ভিক্ষ, হৃদয়-বিদারক দুর্যোগগুলো তিনি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন । তখন দুর্ভিক্ষে লক্ষ-লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে । তিনি ফিরিঙ্গীদের সাথে সংঘটিত ক্রুসেড যুদ্ধগুলোও দেখেছেন । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের প্রতিষ্ঠা, শাসকদের পারস্পারিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত ইত্যাদি তাঁর সম্মুখেই সংঘটিত হয় । এতদসত্ত্বেও এ যুগে শিক্ষা-দীক্ষা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানে উৎকর্ষ সাধনের প্রবল উদ্দিপনা পরিলক্কজিত হয় । আমীর-উমারাদের আগ্রহ এবং বিজ্ঞান ও শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোর জন্যে অকাতরে দান করার কারণে প্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বহুসংখ্যক গ্রন্থ রচিত ও সংকলিত হয় ।
সোর্স : আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া
তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া
বিশেষ নিবেদন : বইটি পরে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে প্রকাশনীর নিকট হইতে বইটি ক্রয় করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হইলো ।
নিবেদন্তে,ইসলামিক ই বই টীম!
“Disclaimer”
১। আমাদের ( ইসলামিক ই-বই এর) উদ্দেশ্য মোটেও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো বা ব্যাক্তি বা প্রত্রিষ্ঠানিক ক্ষতি সাধন করা নয়।
২। আমাদের সাইট এ প্রকাশ করা বই গুলো আমরা কখনো নিজে PDF করে থাকি না করলেও অনুমোদন নিয়েই করা হয়ে থাকে।
৩। বইগুলো যেহেতু আমাদের ইন্টারনেট থেকে কালেক্টেড তাই প্রকাশনীর বা লেখকের আমাদের উপর কোন অভিযোগ গ্ণ্য হবে না, সেক্ষেত্রে যে বা যারা PDF টি করেছে তার কাছে আপনি /আপনারা ক্লেইম করতে পারেন।৷
ধন্যবান্তে,ইসলামিক ই বই টীম!
ডাউনলোড করতে সমস্যা হলে বা কোন লিঙ্ক কাজ না করলে, দয়া করে কমেন্টে জানাবেন ৷